ব্যালন ডি অর জিতলেন দেম্বেলে
যাকে ঘিরে ছিল সব আলোচনা, সেই ওসমান দেম্বেলেই জিতলেন ২০২৫ সালের ব্যালন ডি অর পুরস্কার। লামিন ইয়ামালকে পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারে প্রথমবার এই বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেলেন ফরাসি এই তারকা।
প্যারিসে এক জমকালো আয়োজনে সোমবার রাতে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে দেম্বেলের নাম ঘোষণা করে ফ্রান্সের সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল।
ফ্রান্সের ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি অর জিতলেন দেম্বেলে। তবে গত ত্রিশ বছরের মধ্যে তার আগে স্বদেশি জিনেদিন জিদান ও করিম বেনজেমার হাতে উঠেছিল সম্মানজনক এই পুরস্কার।
নারী ফুটবলে টানা তিনবার ব্যালন ডি অর জিতে অবিশ্বাস্য কীর্তির জন্ম দিয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের তারকা আইতানা বনমাতি। সব মিলিয়ে তিনবার ব্যালন জেতা প্রথম নারী ফুটবলারও তিনি। দুবার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন বার্সেলোনার আরেক তারকা অ্যালেক্সিস পুতিয়াস।
পিএসজি নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা মৌসুম কাটিয়েছে গতবার। ঘরোয়া সব শিরোপা তুলেছে নিজেদের ক্যাবিনেটে। লুইস এনরিকের অধীনে প্রথমবারের মতো জেতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ক্লাব বিশ্বকাপে হয়েছে রানার্সআপ।
ক্লাবের এত সব অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেম্বেলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে দেম্বেলে ৩৫ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেন ১৬ গোলে।
ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ গোলে অবদান রাখেন দেম্বেলে। এক হ্যাটট্রিকসহ নিজে করেন ৮ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করান ৬ গোল। পুরো মৌসুমে ৪৮টি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন দেম্বেলে।
ব্যালন ডি অরের তালিকায় দেম্বেলের পরেই এবার ইয়ামাল। গত মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।
সেরা তিনে জায়গা করে নেন দেম্বেলের সতীর্থ ভিতিনহা।
ব্যালন ডি অরের সেরা ত্রিশ
প্রথম: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি)
দ্বিতীয়: লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা)
তৃতীয়: ভিতিনহা (পিএসজি)
চতুর্থ: মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল)
পঞ্চম: রাফিনহা (বার্সেলোনা)
ষষ্ঠ: আশরাফ হাকিমি (পিএসজি)
সপ্তম: কিলিয়ান এমবাপে (রিয়াল মাদ্রিদ)
অষ্টম: কোল পালমার (চেলসি)
নবম: জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি )
দশম: নুনো মেন্দেস (পিএসজি)
১১তম: পেদ্রি (বার্সেলোনা)
১২তম: খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া (পিএসজি)
১৩তম: হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ)
১৪তম: দিজিরে দুয়ে (পিএসজি)
১৫তম: ভিক্তর ইয়োকেরেশ (আর্সেনাল)
১৬তম: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)
১৭তম: রবার্ট লেওয়ানডভস্কি (বার্সেলোনা)
১৮তম: স্কট ম্যাকটমিনে (নাপোলি)
১৯তম: জোয়াও নেভেস (পিএসজি)
২০তম: লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান)
২১তম: সেরহু গিরাসি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
২২তম: অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার (লিভারপুল)
২৩তম: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ)
২৪তম: ফাবিয়ান রুইস (পিএসজি)
২৫তম: ডেনজেল ডামফ্রিস (ইন্টার মিলান)
২৬তম: আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি)
২৭তম: ডেকলান রাইস (আর্সেনাল)
২৮তম: ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল)
২৯তম: ফ্লোরিয়ান ভার্টস (লিভারপুল)
৩০তম: মাইকেল ওলিস (বায়ার্ন মিউনিখ)
Post a Comment