Header Ads

৭ ম্যাচে বিকেএসপির মেয়েদের ১০২ গোল

 

নারী হকির চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি। কিশোরগঞ্জকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক নারী ডেভেলপমেন্ট কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে বিকেএসপির মেয়েরা। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই একতরফা প্রাধান্য দেখায় বিকেএসপি। ৩টি করে গোল করেন অর্পিতা পাল ও আইরিন আক্তার। ১টি করে গোল করেন জাকিয়া আফরোজ ও তন্নী খাতুন। 


খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩০ গোল দিয়ে সেরা গোলদাতার পুরস্কার জেতেন বিকেএসপির অধিনায়ক অর্পিতা পাল। আর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন কিশোরগঞ্জের অধিনায়ক ফারদিয়া আক্তার রাত্রি।


এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বিকেএসপি ও ১০টি জেলা দল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লিগ পদ্ধতিতে অংশ নেয় দলগুলো। দুই গ্রুপের শেরা চার দল খেলে সেমিফাইনালে। একমাত্র দল হিসেবে আসরের সবগুলো ম্যাচ জিতেছে বিকেএসপি। পুরো টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে করেছে ১০২ গোল। খেয়েছে মাত্র ১টি গোল, ঠাকুরগাঁওয়ের বিপক্ষে।


অপ্রতিরোধ্য বিকেএসপি ডজন ডজন গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে। ওদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কেউ। পারবেই বা কিভাবে? বিকেএসপির চেয়ে সব দিক থেকেই পিছিয়ে বাকি দলগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা দলের সাথে আসা এক কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টে বিকেএসপি কেনো অংশ নেবে? বিকেএসপির সাথে কখোনোই অন্য দলগুলো পারবে না। এটা সবাই জানে। যদি প্রতিদ্বন্দিতা না হয় তাহলে তো টুর্নামেন্টও জমবে না।’ পাশেই দাঁড়ানো আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিকেএসপি দল হিসেবে না খেলে প্রতিটা দলে তাদের খেলোয়াড়রা খেলতে পারতো। তাহলে দলগুলো সমশক্তির হতো। প্রতিযোগিতা বাড়তো। আর আজকে যদি এই ট্রফিটা কোনো জেলা দল পেতো তাহলে সেই জেলায় হকির উন্মাদনা বাড়তো, কদর বাড়তো। হকির উন্নতি হতো।’


মেয়েদের ডেভেলপমেন্ট কাপ হকি শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। ২০২২ সালের পর এবার হলো তৃতীয় আসর। প্রথম আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বিকেএসপি। দ্বিতীয় আসরে প্রতিষ্ঠনটি অংশ নেয়নি। তবে বিকেএসপির খেলোয়ড়দের নিয়েই গঠন করা হয় হকি ফেডারেশন সবুজ ও লাল দল। সে দুইটা দলই জিতেছিলো চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপের শিরোপা। সুতরাং এখন পর্যন্ত বিকেএসপির গন্ডি পেরুতে পারেনি মেয়েদের এই টুর্নামেন্টের শিরোপা। 


এবারের আসরে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। নারী হকির উন্নতিতে কাজ করতে চায় ব্যাংকটি। সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান জেলা পর্যায়ে মেয়েদের হকি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানান। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে ফেডারেশনকে। একইসাথে টুর্নামেন্টগুলো যেনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সে বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে ফেডারেশনকে। না হলে জেলা দলগুলোর পাশাপাশি আগ্রহ হারাবে দর্শকরাও।

No comments

Powered by Blogger.