Header Ads

বাছাইয়ে ভালো করতে ব্যাটারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত এক থেকে দেড় বছরে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের হতাশার বড় অংশ ব্যাটিং। বোলাররা যথাসাধ্য ভালো করলেও ব্যাতারদের অধারাবাহিকতার কারণে ম্যাচের পর ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ভালো করার জন্য তাই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির আশা, সেরাটা দেবেন ব্যাটাররা।

 

অনেকটা সময় ধরেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের সেরা ব্যাটার নিগার। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় প্রায়ই আড়াল হয়ে যাচ্ছে তার পারফরম্যান্স। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যাটারদের ধারাবাহিকভাবে ভালো না করতে পারাটা সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। মিডল অর্ডারে মাঝেমধ্যে কিছু ভালো ইনিংসের দেখা মিললেও দল হিসেবে উন্নতির ক্ষেত্রে সেটা খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। ফলে বোলাররা খুব ভালো করলেও দেখা মিলছে না ইতিবাচক ফলাফলের। 

 

পাকিস্তানে বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে নিগার তাই বললেন, ব্যাটারদের জ্বলে ওঠার বিকল্প নেই। 

“প্রথম দিকে আমরা যদি একটা ভালো মোমেন্টাম পেয়ে যাই, তাহলে ভালো করতে পারব। আমরা যদি ব্যাটিংটা ভালো করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হবে। পাকিস্তানের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। তবে আমাদের বোলাররা সবসময় অনেক ভালো পারফর্ম করে আসছে। তারা সবসময় ব্যাটারদের সমর্থন যোগায়। তাই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যেন আমরা আরও ভালো করতে পারি, সেটাই মূল লক্ষ্য থাকবে।”

 

বাংলাদেশের এই দলের শক্তির জায়গা বোলিং। আরও বিশেষভাবে বললে স্পিন। বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণ দিয়ে দেশের মাটিতে সবসময়ই ভালো করছে বাংলাদেশ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও শেষ দ্বিপাক্ষিক সফরে ভালো করেছেন তারা। তবে পাকিস্তানে উইকেট থেকে সেই সহায়তা পাবেন না স্পিনাররা। বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হওয়ায় এবারও সেখানে স্পিনারদের পার করতে হতে পারে কঠিন সময়। 

 

সেটা মাথায় রেখে আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নিগার। 

“গত কয়েকটা সিরিজে আমরা যখনই দেশের বাইরে খেলতে গিয়েছি, সেখানে তারা অনেক ভালো করেছে। এই ধরণের উইকেটে স্পিনাররা অত বেশি টার্ন পাবে না, যেমনটা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। কারণ, এখানে তো স্পিন সহায়ক উইকেট থাকে। দেশের উইকেটে ভালো জায়গায় বল করলেই উইকেট চলে আসে। তবে দেশের বাইরে উইকেট পেতে হলে অনেক বেশি সংগ্রাম করতে হবে। বোলারদের সাথে আমরা আলোচনা করেছি যাতে তারা উইকেটের পেছনে না ছুটে মিতব্যয়ী থাকার চেষ্টা করে।”

 

ছয় দলের বাছাই থেকে সেরা দুই দল জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ১০ এপ্রিল, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। বাকি ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১৩ এপ্রিল (আয়াল্যান্ড)১৫ এপ্রিল (স্কটল্যান্ড), ১৭ এপ্রিল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও ১৯ এপ্রিল (পাকিস্তান)

 

এখন পর্যন্ত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছে ১২ বার। বাংলাদেশ মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে মাত্র একবার।

No comments

Powered by Blogger.